প্রতিমন্তব্য করুন

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ লেখা। অ্যাডাম স্মিথ সত্যিই বিস্ময়কর।

এখানে যেটা বুঝতে পারছি, ঔপনিবেশিক উপনিবেশ না করে শুধু মুক্ত বাণিজ্যে নাম লেখালে বেটার অফ থাকতো। আবার উপনিবেশের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্তু পার্থক্য হলো এখানে চয়েজটা ঔপনিবেশিকের, উপনিবেশের নয়।

উপনিবেশ তৈরিতে শর্টটার্মে শাসক ও ধনিক শ্রেণীর একটা একতরফা লাভ আছে। সেটা (সিম্পলিফাইড ভার্শনে) অনেকটা এরকম যে - শাসক শ্রেণী নিজের দেশের জনগণের থেকে তার নানা চিরায়ত উপায়ে (রাজস্ব, টাকা ছাপানো, ইত্যাদি উপায়ে) টাকা লুটে নিলো। তারপর সেই টাকায় যুদ্ধে গেলো। উপনিবেশ দখল করলো। তার পোষা একচেটিয়া ব্যবসায়ীদের পাঠালো। তারপর সেই ব্যবসার লাভ শাসক ও ধনিক শ্রেণী উভয়ে ভোগ করলো। এতে স্ট্রিক্ট ক্ষতি তার নিজের দেশের জনগণ আর উপনিবেশের। লাভ ঔপনিবেশিক শাসক, ধনিক শ্রেণী ও তার উপনিবেশের দোসরদের। এখানেও অবশ্য আর্গু করা যায় যে লং টার্মে উপনিবেশ রক্ষা করতে গিয়ে তার ক্ষতিই বেশি হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে সেই লং টার্ম কতো বড়? মোটের উপর লোলুপরা তো তাদের জীবদ্দশাতেই শর্টটার্ম লাভ কুড়িয়ে মরে যাচ্ছে। ফলে লং টার্ম ক্ষতি এড়ানোর তার ইন্সেন্টিভটা কোথায়? এটা নিয়ে একটু চিন্তা করতে পারেন।

বর্তমানে ভিন্ন শক্তির অর্থনীতির মাঝে মুক্ত বাণিজ্য মাত্রই যে নব্য-ঔপনিবেশিকতা খোঁজা হয়, সেটা নিয়ে আপনার মত কী?

যুদ্ধ যে অর্থনীতির জন্যে ক্ষতিকর সেটা একজন অ্যাভারেজ অর্থনীতিবিদ মাত্রেই বোঝেন বলে মনে করতাম। অ্যাডাম স্মিথ বুঝতেন। বাস্তিয়ে তো "যুদ্ধ অর্থনীতির জন্যে ভালো" এমন ভ্রান্ত ধ্যান ধারণার একটা নামও দিয়েছেন - "ব্রোকেন উয়িন্ডো ফ্যালাসি"। সে জায়গায় "লিবারেল", কেইনিজিয়ান অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান সম্পর্কে কী বলবেন, যে কিনা এখানে সেখানে বলে বেড়ান যে আমেরিকা আরেকটা যুদ্ধে গেলেই নাকি রিসেশান থেকে উঠে দাঁড়াবে? দুটো বিরাট যুদ্ধের পর রিসেশান খাওয়া ঔপনিবেশিকদের পক্ষে নোবেল দেওয়ার জন্যে এর চেয়ে উত্তম আর কে ছিলো? হাসি

জবাব

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।